গ্রাফিক্স ডিজাইন ফ্রিল্যান্সিং কোর্স-গ্রাফিক্স ডিজাইন বেসিক গাইডলাইন
গ্রাফিক্স ডিজাইন যেটি ফ্রিল্যান্সিং জগতের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও চাহিদা
পূন্য একটি সেক্টর। শিল্পীদের যত প্রতিভা আছে তা সবার সামনে তুলে ধরার জন্য
বর্তমানে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম হলো গ্রাফিক্স ডিজাইন। অনেকেই আছেন
যারা গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখতে চাচ্ছেন কিন্তু এর সঠিক গাইডলাইন না থাকার কারণে
শুরু করতে পারছেন না।
সঠিক গাইডলাইনের অভাবে যদি আপনি গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখতে না পারেন, তাহলে আজকের এই
আর্টিকেলটি থেকে আপনারা গ্রাফিক্স ডিজাইন সম্পর্কে A to Z জানতে পারবেন ও
গ্রাফিক্স ডিজাইন শেখার সম্পূর্ণ গাইডলাইন পাবেন ইনশাআল্লাহ। আপনি যদি গ্রাফিক্স
ডিজাইন এর কাজ শিখে নিজের মেধা ও প্রতিভাকে বিকশিত করতে চান তাহলে পুরো
আর্টিকেলটি জুড়ে আমাদের সাথেই থাকুন।
পেজ সূচিপত্রঃ গ্রাফিক্স ডিজাইন ফ্রিল্যান্সিং কোর্স
গ্রাফিক ডিজাইন কি
গ্রাফিক্স ডিজাইন হলো কম্পিউটারের বিশেষ কিছু সফটওয়্যার ব্যবহার করে কোন মেসেজ,
তথ্য কিংবা কাল্পনিক কোন কিছুকে প্রসেসিং এর মাধ্যমে দৃশ্যমান কোন কোন ছবি দিয়ে
নকশা তৈরি করা। কম্পিউটারের বিভিন্ন সফটওয়্যার ব্যবহার করে বর্তমান সময়ে এ
প্রসেসিং এর মাধ্যমে বিভিন্ন ছবি, আকৃতি ও রং ব্যবহার করে কোন ডিজাইন তৈরি করা হয়
বিভিন্ন ডিজাইন যেকোনো ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এর জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
আর তাই ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন ডিজাইনগুলো গ্রাফিক্সের মাধ্যমে করা হয়ে
থাকে। গ্রাফিক্স ডিজাইন এর কাজ শিখে শুধু অর্থ উপার্জন করা যায় না বরং গ্রাফিক্স
ডিজাইন এর উপর ভালোভাবে দক্ষতা অর্জন করতে পারলে এটার মাধ্যমে নিজের সৃজনশীলতাকে
সবার মধ্যে অনেক সুন্দর ভাবে তুলে ধরা যায়। রাস্তার বিভিন্ন বোর্ড থেকে শুরু করে
পোস্টার কিংবা একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের জন্য প্রয়োজনীয় যত কিছু দরকার সবকিছুর
জন্য গ্রাফিক্স ডিজাইনার প্রয়োজন পড়ে।
তাছাড়াও অনলাইনে সোশ্যাল মিডিয়া থেকে শুরু করে ওয়েবসাইট তৈরির জন্য গ্রাফিক্স
ডিজাইনের ডিমান্ড বাড়ছে। গ্রাফিক্স ডিজাইন প্লাটফর্মে প্রতিযোগীর সংখ্যা
তুলনামূলকভাবে অনেক কম। তাই আপনি যদি আপনার মধ্যে থাকা মেদা ও সৃজনশীলতাকে কাজে
লাগিয়ে গ্রাফিক্স ডিজাইন এর উপর পরিপূর্ণভাবে দক্ষতা অর্জন করতে পারেন, তাহলে এই
গ্রাফিক্স ডিজাইনের মাধ্যমে আপনি আপনার ক্যারিয়ার গড়তে পারবেন ইনশাআল্লাহ।
গ্রাফিক্স ডিজাইন কত প্রকার ও কি কি
অনেক প্রকারের গ্রাফিক্স ডিজাইনের কাজ রয়েছে। একটি ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানে যত কাজ
আছে তার প্রায় আংশিক কাজের মধ্যেই গ্রাফিক্স ডিজাইন রয়েছে। তাছাড়াও রাস্তার
মধ্যে আমরা যত প্রকার বোর্ড, পোস্টার, ব্যানার ইত্যাদি দেখি এ সব গুলো গ্রাফিক্স
ডিজাইন এর কাজ। ডিজাইনের বিভিন্ন ধরন অনুসারে গ্রাফিক্স ডিজাইন কে নিম্নোক্ত
কয়েকটি ভাগে ভাগ করা যায়।
- লোগো ডিজাইন (Logo Design)
- মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন ডিজাইন (Mobile Application Design)
- প্রিন্ট ডিজাইন (Print Design)
- পাবলিকেশন ডিজাইন (Publication Design)
- প্রোডাক্ট ডিজাইন (Product Design)
- ব্র্যান্ডিং ডিজাইন (Branding Design)
- ইউ আই ইউ এক্স ডিজাইন (UI/UX Design)
- ওয়েব ডিজাইন (Web Desing)
- কার্টুন ডিজাইন (Cartoon Desing)
- টি-শার্ট ডিজাইন (T-Shist Design)
লোগো ডিজাইন (Logo Design) লোগো ডিজাইন হলো গ্রাফিক্স ব্যবহার করে কোন
কিছুর প্রতীক তৈরি করার একটি প্রক্রিয়া। গ্রাফিক ডিজাইনের গুরুত্বপূর্ণ কিছু
কাজের মধ্যে লোগো ডিজাইন হলো অন্যতম। গ্রাফিক্স ডিজাইনের মাধ্যমে মূলত লগো
ডিজাইন করা হয় কোন প্রতিষ্ঠান কিংবা ব্যক্তির জন্য। গ্রাফিক্স ডিজাইনের
মাধ্যমে তৈরিকৃত লোগোটি কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের পরিচয় তুলে ধরে। লোগো
একটি প্রতিষ্ঠানকে মানুষের সামনে আকর্ষণীয় ভাবে তুলে ধরে যার ফলে মানুষের কাছে
সে প্রতিষ্ঠানটির মর্যাদা বেড়ে যায়।
মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন ডিজাইন (Mobile Application Design) অ্যান্ড্রয়েড
ফোনে ব্যবহার করা হয় এমন বিভিন্ন রকমের এপ্লিকেশন কিংবা সফটওয়্যার ডিজাইন
করার প্রসেসিং কে মোবাইলে অ্যাপ্লিকেশন ডিজাইনবল। একটি মোবাইলের সেটিংস এর এর
ভিতর যত কাজ রয়েছে তার সম্পন্ন করা হয় অ্যাপ্লিকেশন ডিজাইনের মাধ্যমে।
প্রিন্ট ডিজাইন (Print Design) প্রিন্ট ডিজাইন ও গ্রাফিক্স ডিজাইন এর
মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ একটি সেক্টর। ভিজিটিং কার্ড, ক্যালেন্ডার, পোস্টার, লিফলেট
ও আমাদের প্রতিদিনকার প্রয়োজনীয় অনেক পণ্যের মধ্যেই প্রিন্ট ডিজাইন করা হয়।
পাবলিকেশন ডিজাইন (Publication Design) আমাদের পড়াশোনা করার জন্য যে বই
খাতা গাইড পত্রিকা ইত্যাদি প্রয়োজন সবকিছু করা হয় পাবলিকেশন ডিজাইনের
মাধ্যমে।
প্রোডাক্ট ডিজাইন (Product Design) প্রোডাক্ট ডিজাইন হলো এমন একটি
প্রসেস যার মাধ্যমে ভোক্তার চাহিদার উপর নির্ভর করে কোন প্রতিষ্ঠানের পণ্য তৈরি
করা। একটি প্রতিষ্ঠানের সাফল্য অর্জনের জন্য প্রোডাক্ট ডিজাইন অত্যন্ত
গুরুত্বপূর্ণ একটি কাজ। কেননা যে প্রতিষ্ঠানের প্রোডাক্ট ডিজাইন ভালো হবে সে
প্রতিষ্ঠানের প্রোডাক্টগুলো ভোক্তার কাছে বেশি গ্রহণযোগ্য মনে হবে। আর মূলত যে
প্রতিষ্ঠানের প্রোডাক্ট ভোক্তার কাছে গ্রহণযোগ্য সেই প্রতিষ্ঠানটি এত
তাড়াতাড়ি সফলতা অর্জন করতে পারবে। কোন পণ্যকে ভোক্তার কাছে আকৃষ্ট করতে
প্রোডাক্ট ডিজাইনের কোন তুলনা হয় না। তাই বলা যায় গ্রাফিক্স ডিজাইন এর মধ্যে
অন্যতম আরো একটি কাজ হলো প্রোডাক্ট ডিজাইন।
ব্র্যান্ডিং ডিজাইন (Branding Design) কোন পণ্যকে কাস্টমারের কাছে দামি
করে তোলার কাজই হলো ব্র্যান্ডিং। যেমন ধরুন একই জুতা এক দোকানে ১৫,শ টাকা আর
অন্য দোকানে ২ হাজার টাকা করে বিক্রি করে। যে দোকানের জুতাটি ২ হাজার টাকা সেটি
হচ্ছে ব্র্যান্ড এর দোকান। কারণ মানুষ এখন এই দোকানকে বেশি চিনে এক কথায় বলা
যায় কারো পরিচয় সবার সামনে দামি করে তুলে ধরাকে ব্যান্ডিং বলে। ঠিক তেমনি কোন
পণ্য ভোক্তার কাছে দামি করে তুলে ধরার উপায় হচ্ছে ব্র্যান্ডিং ডিজাইন।
ইউ আই ইউ এক্স ডিজাইন (UI/UX Design) বর্তমান সময়ে গ্রাফিক্স ডিজাইনের
সবচেয়ে গুরুত্ব ও চাহিদা পূর্ণ কাজ হচ্ছে (UI/UX Design)। UI এর অর্থ হলো-User
Interface ইউজার ইন্টারফেস। কোন ওয়েবসাইটের কিংবা অ্যাপ্লিকেশনের জন্য একজন
ব্যবহারকারী যে ইন্টারফেসটি ব্যবহার করে তাই UI ডিজাইন। আপনি এখন যে লেখাটি
পড়ছেন সেটিও UI/UX এর মাধ্যমে তৈরিকৃত।
ওয়েব ডিজাইন (Web Desing) গ্রাফিক্স ব্যবহার করে একটি ওয়েবসাইটকে
সুন্দর সমৃদ্ধভাবে সাজিয়ে সেটার কাস্টমাইজেশন করাই হলো ওয়েব ডিজাইনের কাজ।
বর্তমান সময়ে প্রত্যেকটি প্রতিষ্ঠানের জন্যই একটি করে ওয়েবসাইট প্রয়োজন
পড়ে। আর এই ওয়েবসাইট ডিজাইন এর জন্য সেই প্রতিষ্ঠানে অনেক ওয়েব ডিজাইনার
প্রয়োজন পড়ে।
কার্টুন ডিজাইন (Cartoon Desing) স্কেচ থেকে এনিমেশন তৈরি করার জন্য
কার্টুন ডিজাইনের প্রয়োজন পড়ে। এই প্রক্রিয়াটির মাধ্যমে স্থির কোন চিত্রকে
চলমান একটি চিত্রে দেয়। বর্তমানে সামাজিক যোগাযোগের গুরুত্বপূর্ণ একটি মাধ্যম
হলো ইউটিউব যেখানে কার্টুন ডিজাইন করে ভিডিও প্রচার করলে অনেক ভিও হয়।
টি-শার্ট ডিজাইন (T-Shist Design) আমরা প্রতিদিন যে শার্ট কিংবা গেঞ্জি
পড়ে থাকে তার সব ডিজাইন টি-শার্ট ডিজাইন এর মাধ্যমে করা হয়ে থাকে। বিভিন্ন
কাপড়ের গার্মেন্টসে টি-শার্ট ডিজাইন এর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।
গ্রাফিক্স ডিজাইন কাদের জন্য
প্রত্যেকটা মানুষের ভিতরেই বিভিন্ন রকমের প্রতিভা রয়েছে। একজন মানুষের যেই গুণ
রয়েছে ঠিক সেই কোনটি অন্য কারো ভিতরে নাও থাকতে পারে। মহান আল্লাহ তাআলা এই
পৃথিবীতে সবাইকে আলাদা আলাদা গুন দিয়ে পাঠিয়েছেন। যেমন কেউ ভালো খেলতে পারে,
কেউ ভালো গাইতে পারে, কেউ ভালো লিখতে পারে এবং কেউ কেউ আবার সুন্দর ডিজাইনও
করতে পারে। প্রতিটি মানুষেরই একটি জিনিসের প্রতি অনেক আগ্রহ জাগে।
আপনি যদি গ্রাফিক্স ডিজাইন এর উপর দক্ষতা অর্জন করতে চান তাহলে আপনাকে সেটা
নিয়ে চিন্তা ভাবনা করতে হবে। আর্ট করার উপর অনেক যোক থাকতে হবে। তাহলে আপনি
গ্রাফিক্স ডিজাইন এর উপর খুব সুন্দর ভাবে দক্ষতা অর্জন করতে পারবেন। বর্তমান
সময়ে বিশ্বের সব দেশেই গ্রাফিক্স ডিজাইনের ডিমান্ড অনেক বেশি। এর কারণ হলো
রাস্তার বোর্ড থেকে শুরু করে পোস্টার, ব্যানার কিংবা বড় বড় প্রতিষ্ঠানের
ডিজাইনের কাজ করতে একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনার এর প্রয়োজন পড়ে।
আপনি যদি গ্রাফিক্স ডিজাইন এর উপর ভালোভাবেই দক্ষতা অর্জন করতে পারেন তাহলে
গ্রাফিক্স ডিজাইনার হয়েই আপনি আপনার জীবন গড়তে পারবেন। কিন্তু সবার মনেই একটি
প্রশ্ন ঘুরপাক খায় যে আমি কি গ্রাফিক্স ডিজাইনার হতে পারবো? উত্তর হলো হ্যাঁ,
অবশ্যই পারবেন আপনি যদি চান আপনিও একজন সফল গ্রাফিক ডিজাইনার হতে পারবেন।
গ্রাফিক্স ডিজাইন এর উপর দক্ষতা অর্জন করতে চাইলে শুধু আর্ট করার প্রতিভা
থাকলেই চলবে না বরং এই প্রতিভার সাথে সাথে আপনার মধ্যে সৃজনশীলতা ও থাকা
প্রয়োজন। প্রতিনিয়ত যেমন সবকিছু আপডেট হচ্ছে ঠিক তেমনি আপনাকে নিজেকেও আপডেট
করতে হবে। কোন কিছু করার যোগ্য হিসেবে গড়ে তুলতে হবে নিজেকে। নচেৎ গ্রাফিক্স
ডিজাইন এর উপর ভালোভাবে দক্ষতা অর্জন করতে পারবেন না।
তাই আপনার যদি মনে হয় যে আপনার মধ্যে আর্ট করার পাশাপাশি সৃজনশীলতার ভালো গুণ
রয়েছে তাহলে, আপনিও আপনার ক্যারিয়ারকে গড়তে গ্রাফিক্স ডিজাইন এর উপর দক্ষতা
অর্জন করতে পারেন। ইনশাআল্লাহ আপনি একজন সফল গ্রাফিক্স ডিজাইনার হতে পারবেন।
গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখতে কতদিন সময় লাগে
আপনারা যারা গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখে এর উপর দক্ষতা অর্জন করে নিজের ক্যারিয়ার
গড়তে চান, তাদের অনেকের মনে হয়তো বারবার একটি প্রশ্ন জাগে যে গ্রাফিক্স ডিজাইন
শিখতে কতদিন লাগে? যারা গ্রাফিক্স ডিজাইন সম্পর্কে কিছুই জানে না প্রথম থেকে
গ্রাফিক্স ডিজাইনের কাজ শিখতে চাই এটি তাদের একটি কমন প্রশ্ন। মূলত গ্রাফিক্স
ডিজাইন A to Z শিখতে কতদিন সময় প্রয়োজন সেটা কারো পক্ষেই বলা সম্ভব নয়।
কারণ সেটি নির্ভর করে একমাত্র আপনার নিজের উপর। আপনি কতটুকু নিতে পারবেন সেটির
উপর নির্ভর করে। আপনার মধ্যে যদি কোন কিছু শেখার উচ্চ আকাঙ্ক্ষা থাকে তাহলে
একটি কাজ শিখার নির্দিষ্ট সময়ের আগে আপনি চাইলে শিখে ফেলতে পারবেন। এটি
পুরোপুরিভাবে নির্ভর করে প্রতিনিয়ত এর ওপর কতটুকু চর্চা করছেন। তবে আপনি যদি
গ্রাফিক্স ডিজাইন বেসিক থেকে এডভান্স লেভেল পর্যন্ত শিখতে চান তাহলে আপনাকে ৬
মাস থেকে ১ বছর মেয়াদী কোর্স করতে হবে।
তাহলে আপনি একেবারে হাতে-কলমে গ্রাফিক্স ডিজাইনের কাজ শিখে এর উপর দক্ষতা অর্জন
করতে পারবেন। কিন্তু এক বছর কোর্স করেই যে আপনি গ্রাফিক্স ডিজাইনার হয়ে যাবেন
ব্যাপারটা কিন্তু এমন নয়। একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনার হতে হলে আপনাকে কোর্স করার
পাশাপাশি প্রতিনিয়ত চর্চা করেই যেতে হবে। কেননা কোন কিছু শেখার জন্য চর্চার
কোন বিকল্প নেই। তাই আপনি যদি কোর্স করার পাশাপাশি প্রতিদিন চর্চা করেই যান
তাহলে একজন সফল গ্রাফিক্স ডিজাইনার হতে পারবেন ইনশাআল্লাহ।
আমি কেন গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখবো
ফ্রিল্যান্সিং জগতে ডিজিটাল মার্কেটিং, ওয়েব ডিজাইন ও ডেভেলপমেন্টের পাশাপাশি
বর্তমান বিশ্বে গ্রাফিক্স ডিজাইনের ডিমান্ড অনেক বেশি। কেননা প্রতিটি ক্ষেত্রেই
গ্রাফিক্স ডিজাইনের কাজ প্রয়োজন। তাই আপনি চাইলে গ্রাফিক্স ডিজাইন এর উপর ভালো
করে দক্ষতা অর্জন করে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। পুরো পৃথিবীতে এমন অনেক বড়
বড় প্রতিষ্ঠান আছে যে প্রতিষ্ঠানগুলো হাজার হাজার ডলার ব্যয় করে শুধুমাত্র
লোগো ডিজাইনের কাজের জন্য।
আর এই লোগো ডিজাইনটি গ্রাফিক্স ডিজাইন কাজের অন্তর্ভুক্ত। আপনি যদি ভালোভাবে
গ্রাফিক্স ডিজাইন এর উপর দক্ষতা অর্জন করতে পারেন তাহলে গ্রাফিক্স ডিজাইনের
বিভিন্ন কাজ করতে পারবেন। উপরে গ্রাফিক্স ডিজাইন এর অনেকগুলো কাজের ব্যাখ্যা
দেওয়া আছে।আপনি চাইলে এখান থেকে দেখে আপনার পছন্দের একটি কাজ বাছাই করে তার
ওপর দক্ষতা অর্জন করতে পারেন।
বর্তমান সময়ে ই-কমার্সের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের বিভিন্ন পণ্য ভোক্তাদের
কাছে আকৃষ্ট করে তোলার জন্য গ্রাফিক্স ডিজাইনার নিয়োগ দিয়ে থাকে। আপনিও যদি
চান তাহলে গ্রাফিক্স ডিজাইন এর কাজের উপর দক্ষতা অর্জন করে দেশে কিংবা দেশের
বাইরে যে কোন প্রতিষ্ঠানে গ্রাফিক্স ডিজাইন এর বিভিন্ন সেক্টরের উপর কাজ নিতে
পারেন।ভবিষ্যতে এ পৃথিবীটা এমন একটি পর্যায়ে এসে পৌঁছাবে যখন ডিজিটাল
মার্কেটিং এর আরো অনেক নিত্যনতুন কাজের আবিষ্কার হবে।
আর ডিজিটাল মার্কেটিং এর এই কাজগুলো পুরোপুরি ভাবে গ্রাফিক্স ডিজাইন এর উপর
নির্ভরশীল হয়ে পড়বে। তখন দিন দিন আরো প্রাকৃতিক ডিজাইনের চাহিদা বৃদ্ধি পেতেই
থাকবে। গ্রাফিক্স ডিজাইন এর উপর দক্ষতা অর্জন করতে পারলে আপনি ফ্রিল্যান্সিং
ইন্টারন্যাশনাল বড় বড় মার্কেটপ্লেসে নিজের জায়গা করে নিতে পারবেন। তাই
আপনারা যারা গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখে এর উপর দক্ষতা অর্জন করে নিজের ক্যারিয়ার
গড়তে চাচ্ছেন, তাদের উদ্দেশ্যে আমি বলবো নিঃসন্দেহে এটি ক্যারিয়ারের জন্য অনেক
ভালো হবে।
আমি কিভাবে গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখবো
যারা মূলত গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখে নিজের ক্যারিয়ার গড়তে চান তাদের আরো একটি
প্রশ্ন থাকে যে আমি কিভাবে গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখাবো। গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখার
বিভিন্ন উপায় রয়েছে। তার মধ্যে গ্রাফিক্স ডিজাইন শেখার প্রদান দুইটি উপায়
হলো-
- ফ্রিতে নিজের চেষ্টায়
- পেইড কোর্স করে
ফ্রিতে নিজের চেষ্টায়ঃ আপনি যদি ফ্রিতে নিজ চেষ্টায় গ্রাফিক্স ডিজাইন
শিখতে চান তাহলে সে ক্ষেত্রে আপনাকে সোশ্যাল মিডিয়ার সব থেকে জনপ্রিয় দুটি
মাধ্যম ইউটিউব ও ফেসবুক ব্যবহার করতে হবে। ইউটিউব এর মাধ্যমে আপনি ফ্রিতে
বিভিন্ন চ্যানেলে খুঁজে গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখতে পারবেন। ইউটিউবে বিভিন্ন
চ্যানেলে ডিজাইন এর কোর্সের ভিডিও রয়েছে। সেখানে চাইলে আপনি ফ্রিতে গ্রাফিক্স
ডিজাইন শিখে দক্ষতা অর্জন করতে পারেন।
পেইড কোর্স করেঃ গ্রাফিক্স ডিজাইন শেখার জন্য অনেক আইটি সেক্টর রয়েছে।
যেখানে আপনি কোর্স করার মাধ্যমে গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখে এর উপর দক্ষতা অর্জন
করতে পারবেন। গুগলে বিভিন্ন ওয়েবসাইট রয়েছে যারা গ্রাফিক্স ডিজাইনের পেইড
কোর্স বিক্রি করে থাকে। ওয়েবসাইট গুলো ভিজিট করে আপনার পছন্দমত একটি গ্রাফিক্স
ডিজাইন কোর্স কিনে নিবেন।
গ্রাফিক্স ডিজাইনের কাজ শিখে কেমন আয় করা যায়
যেকোনো কাজ শেখার পর সেটার আউটপুট নির্ভর করে একমাত্র আপনার ইনপুট এর উপর। মানে
আপনি একটি কাজ কতটা দক্ষতার সহিত শিখেছেন সেটির উপর নির্ভর করবে আপনি এই কাজটি
থেকে কেমন আয় ইনকাম করতে পারবেন। গ্রাফিক্স ডিজাইন এর উপর ভালোভাবে দক্ষতা
অর্জন করতে পারলে আপনি মাসে লাখ টাকার উপরে আয় করতে পারবেন। গ্রাফিক্স
ডিজাইনের কাজের বিভিন্ন সেক্টর হয়েছে তার মধ্যে অন্যতম একটি সেক্টর হলো লোগো
ডিজাইন।
আপনি যদি লোগো ডিজাইনের কাজ শিখতে পারেন তাহলে লোগো ডিজাইন করার মাধ্যমে আপনি
১০০ ডলার থেকে ১৫০ ডলারের মত ইনকাম করতে পারবে। যদি আপনি বড় কোন প্রতিষ্ঠানে
লোগো ডিজাইনের কাজ নিতে পারেন তাহলে শুধু এর থেকেই আপনি মাসে লাখ টাকার উপরে
আয় করতে পারবেন। তাই ইনকামের দিক থেকে গ্রাফিক্স ডিজাইন এর অনেক ভ্যালু
রয়েছে। আপনিও চাইলে গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখে প্রতি মাসে লাখ টাকার উপরে আয় করতে
পারবেন।
লেখকের মন্তব্যঃ গ্রাফিক্স ডিজাইন ফ্রিল্যান্সিং কোর্স
বর্তমান সময়ে ফ্রিল্যান্সিং এর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি সেক্টর হলো
গ্রাফিক্স ডিজাইন। যেটির উপর আপনি ভালোভাবে দক্ষতা অর্জন করতে পারলে আপনি আপনার
ক্যারিয়ার গড়তে পারবেন। আজকের এই আর্টিকেলটিতে আমি গ্রাফিক্স ডিজাইন সম্পর্কে
A to Z আলোচনা করেছি। আশা করি আমার আর্টিকেল থেকে আপনি গ্রাফিক্স ডিজাইন
সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জানতে পেরেছেন।
আমার এই আর্টিকেলটি যদি আপনার কাছে ভালো লেগে থাকে তাহলে আর্টিকেলটি আপনার
বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন যেন আপনার বন্ধুরাও গ্রাফিক্স ডিজাইন সম্পর্কে
বিস্তারিত জানতে পারে। প্রতিনিয়ত এমন তথ্য ও অনলাইন ইনকাম সম্পর্কে জানার জন্য
আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন। এতক্ষণ আমাদের সাথে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য
ধন্যবাদ। সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করে আমার লেখাটি শেষ করছি আল্লাহ হাফেজ।
আর এইচ ড্রিম আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url