বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর সব থেকে ডিমান্ডেবল সেক্টর কোনটি
বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর সব থেকে ডিমান্ডেবল সেক্টর কোনটি। ফ্রিল্যান্সিং যেটি
বর্তমান সময়ে একটি জনপ্রিয় পেশা হিসেবে পরিচিত। ফ্রিল্যান্সিং করার মাধ্যমে
আমাদের দেশে হাজারো তরুণ তরুণীরা ঘরে বসে রেমিটেন্স আনছে। এতে করে আমাদের দেশের
অর্থনীতির উন্নতি সাধন হচ্ছে। কিন্তু অনেকেই সঠিক গাইডলাইন না থাকার কারণে
ফ্রিল্যান্সিং বিষয়ে আগ্রহী হতে পারছে না।
আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং করে অর্থ উপার্জন করার ইচ্ছা পোষণ করে থাকেন, কিন্তু
বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর সব থেকে ডিমান্ডেবল সেক্টর কোনটি। সেটি সম্পর্কে অবগত
না থাকেন তাহলে এ আর্টিকেলটির মাধ্যমে আপনি জানতে পারবেন ফ্রিল্যান্সিংয়ের
খুঁটিনাটি বিষয় সম্পর্কে। তাই সম্পূর্ণ আর্টিকেল জুড়ে আমাদের সাথে থাকুন।
পেজ সূচিপত্রঃ বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর সব থেকে ডিমান্ডেবল সেক্টর কোনটি
- বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর সব থেকে ডিমান্ডেবল সেক্টর কোনটি
- ফ্রিল্যান্সিং এর কতগুলো সেক্টর আছে কি কি
- মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো 2024
- ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি 2024
- ফ্রিল্যান্সিং এ আয়ের দিক থেকে বাংলাদেশের অবস্থান কত ২০২৪
- ফ্রিল্যান্সারদের সংখ্যার দিক থেকে সবচেয়ে বড় মার্কেটপ্লেস কোনটি
- লেখকের মন্তব্যঃ বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর সব থেকে ডিমান্ডেবল সেক্টর কোনটি
বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর সব থেকে ডিমান্ডেবল সেক্টর কোনটি
বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর সব থেকে ডিমান্ডেবল সেক্টর কোনটি ফ্রিল্যান্সিং হচ্ছে
একটি মুক্ত পেশা। ফ্রিল্যান্সিংয়ে নিজেই নিজের বস। এখানে স্বাধীনভাবে যখন ইচ্ছা
তখন কাজ করা যায়। ফ্রিল্যান্সিং করার মাধ্যমে ঘরে বসে অর্থ উপার্জন করা যায়।
এতে বাইরে গিয়ে কোন প্রকার কাজ করতে হয় না। ফিলাসিং করার জন্য শুধু প্রয়োজন
দ্রুতগতির ইন্টারনেট সংযোগ। আবার ফ্রিল্যান্সিং বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করে কেউ কেউ
উদ্যোক্তা হয়ে প্রতিষ্ঠান মালিক হচ্ছে।
কিন্তু এ ফ্রিল্যান্সিং এর ক্ষেত্রে বিভিন্ন সেক্টর রয়েছে সেটার মধ্যে সবচেয়ে
ডিমান্ডেবল সেক্টর কোনটি সেটা নিয়ে আমরা আলোচনা করব। ফ্রিল্যান্সিং এর বিভিন্ন
সেক্টরগুলোতে বর্তমানে সেগুলো সব থেকে বেশি ডিমান্ড সেগুলো হলো ডিজিটাল
মার্কেটিং, গ্রাফিক্স ডিজাইন, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট। এ তিনটির মধ্যে হতে আবার সবথেকে
ডিমান্ডেবল হল ডিজিটাল মার্কেটিং। ডিজিটাল মার্কেটিং করে এখন মানুষ ঘরে বসে প্রতি
মাসে লাখ টাকার উপর আয় করছে।
ডিজিটা মার্কেটিং এর মধ্যে অনেক কাজ রয়েছে সেগুলো হলো ব্লগিং করা, সিপিএ
মার্কেটিং করা, ফেসবুক মার্কেটিং, ইউটিউব মার্কেটিং, (এসইও) সার্চ ইঞ্জিন
অপটিমাইজেশন, লিড জেনারেশন, google অ্যাপস ইত্যাদি। এগুলো সব কাজ ডিজিটাল
মার্কেটিং এর অন্তর্ভুক্ত। এখন বর্তমান মার্কেটপ্লেস ফাইবার, আপ ওয়ার্ক এ এগুলোর
অনেক চাহিদা রয়েছে। ডিজিটাল মার্কেটিং এর এই কাজগুলোর উপর ভালোভাবে দক্ষতা অর্জন
করতে পারলে মার্কেটপ্লেসে ভালো কাজ করার সুযোগ রয়েছে।
দিন যত সামনের দিকে এগোচ্ছে তত ইন্টারনেটের ব্যবহার বৃদ্ধি পাচ্ছে। ব্যবসায়ীরা
তাদের পণ্য বা সেবা অনলাইনের মাধ্যমে বিজ্ঞাপন দিয়ে ব্যবসায়ের প্রসার করছে। আর
ঠিক এভাবেই দিন দিন ডিজিটাল মার্কেটিং এর উন্নতি হচ্ছে। ডিজিটাল মার্কেটিং ছাড়াও
এখন গ্রাফিক্স ডিজাইন, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট এর কাজ শিখে মানুষ অর্থ উপার্জন করছে।
কন্টেন রাইটিং, গ্রাভিজ ডিজাইন, ওয়েব ডিজাইন, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট এগুলো সব
ফ্রিল্যান্সিং এর এক একটি আলাদা আলাদা সেক্টর।
এসব কাজ শিখে তার উপর দক্ষতা অর্জন করার পর এগুলোর প্রচার-প্রচারণা চালানোর জন্য
একজন ডিজিটাল মার্কেটিং এক্সপার্টের প্রয়োজন পড়বে। তাই বর্তমান সময়ে সবচেয়ে
ডিমান্ডেবল এবং গুরুত্বপূর্ণ একটি সেক্টর হল ডিজিটাল মার্কেটিং করা। তাই আপনি যদি
ফ্রিল্যান্সিং শিখতে আগ্রহী হয়ে থাকেন তাহলে নির্দ্বিদাই ডিজিটাল মার্কেটিং
শিখতে পারেন।
ফ্রিল্যান্সিং এর কতগুলো সেক্টর আছে কি কি
ফ্রিল্যান্সিংয়ের অনেক ভিন্ন ভিন্ন আলাদা আলাদা সেক্টর রয়েছে। তন্মধ্যে ডিজিটাল
মার্কেটিং, গ্রাফিক্স ডিজাইন, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, কন্টেন্ট রাইটিং, এফ
ডেভেলপমেন্ট, ফাইবার সিকিউরিটি ইত্যাদি। ফ্রিল্যান্সিং এর সেক্টর গুলোর গুরুত্ব
এক একটা একেক রকম হতে পারে। সেটি পুরোটাই নির্ভর করে আপনার দক্ষতার উপর। আপনি
যেটির উপর বেশি দক্ষতা অর্জন করতে পারবেন সেটি আপনার জন্য বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
ডিজিটাল মার্কেটিং হলো মার্কেটিং করার একটি সাইট যেখানে ইন্টারনেটের মাধ্যমে কোন
পণ্য সামগ্রী বিপণন করা হয়। যেমন আমার একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আছে। সেখান থেকে
পণ্য বা সেবা সামগ্রী অনলাইনে মাধ্যমে গ্রাহকের কাছে পৌঁছে দেয়া। ডিজিটাল
মার্কেটিং করার জন্য প্রয়োজন পড়ে দ্রুতগতির ইন্টারনেট সংযোগ মোবাইল ফোন,
ল্যাপটপ, ডেক্সটপ, কম্পিউটার ইত্যাদি সমূহ।
ডিজিটাল মার্কেটিং এ অনেক সাইট আছে এর মধ্যে গুগল এডস, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং,
সিপিএ মার্কেটিং। গ্রাফিক্স ডিজাইন ওয়েব ডেভেলপমেন্ট এগুলো ফ্রিল্যান্সিংয়ের
ভালো একটি সেক্টর। বাংলাদেশে এখন এগুলোর অনেক ডিমান্ড রয়েছে। এগুলোর মধ্যে
যেটাতে আপনি বেশি দক্ষতা অর্জন করতে পারবেন প্রথমে সেটিকে নিয়ে আপনি কাজ করা
শুরু করুন। তাহলে আপনি সফলতা অর্জন করতে পারবেন।
মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো 2024
অনেকেরই হয়তো ফ্রিল্যান্সিং শিখার মত অর্থ নেই। আর এর জন্য যারা ফ্রিল্যান্সিং
শিখতে চাই তারা চিন্তিত হয়ে পড়ে। এক্ষেত্রে চিন্তার কোন কারণ নেই। আপনার কাছে
যদি ফ্রিল্যান্সিং কোর্স করার মত অর্থ না থাকে কিন্তু মোবাইল দিয়ে ২০২৪ সালে
কিভাবে আপনি ফ্রিল্যান্সিং শিখবেন সেটি জানতে চান তাহলে পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে
পড়ুন। বর্তমান যুগ তথ্য প্রযুক্তির যুগ। ২০২৪ সালে এসে কারো হাতে মোবাইল নেই এমন
লোক খুব কমই পাওয়া যাবে।
আপনার হাতে যদি স্মার্টফোন থাকে তাহলে অনলাইনের মাধ্যমে আপনিও আপনার হাতে মোবাইল
দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং শিখে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। মোবাইল দিয়ে অনলাইনের
মাধ্যমে আপনি বিভিন্নভাবে ফ্রিল্যান্সিং শিখতে পারবেন। মোবাইলের মাধ্যমে ইউটিউব
দেখে খুব সহজেই ফ্রিল্যান্সিং শেখা যায়।
ইউটিউবে বিভিন্ন চ্যানেল আছে যেখানে ফ্রিল্যান্সিং শেখার টিউটোরিয়াল ভিডিও
পাওয়া যায়। যা দেখে আপনি সহজে ফ্রিল্যান্সিং শিখতে পারবেন। তাই ইউটিউবে গিয়ে
যে বিষয়ে আপনি ফ্রিল্যান্সিং শিখতে আগ্রহী সেই বিষয়ে সার্চ দিয়ে খুজে নিন।
মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং শেখার আরো একটি সাইট হচ্ছে ব্লগার সাইট। এখান থেকে
আপনি মোবাইলের মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সিং শিখতে পারবেন।
ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি 2024
ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি 2024 অনেকেই ফ্রিল্যান্সিং করে অর্থ উপার্জন
করতে চাই। কিন্তু বর্তমান সময়ে ফ্রিল্যান্সিংয়ের কোন কাজের চাহিদা সবচেয়ে বেশি
সেটা সম্পর্কে জানেনা। ২০২৪ সালে এসে ফ্রিল্যান্সিংয়ের কোন কাজে সবচেয়ে বেশি
চাহিদা রয়েছে সেটা সম্পর্কে আজ বিস্তারিত জানাবো।
- ডিজিটাল মার্কেটিং (Digital marketing)
- গ্রাফিক্স ডিজাইন (Graphic design)
- ওয়েবসাইট ডিজাইন (Website design)
- সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (Search engine optimization -SEO)
ডিজিটাল মার্কেটিংঃ ডিজিটাল মার্কেটিং বলতে বুঝায় অনলাইনে
ইন্টারনেটের মাধ্যমে সেবার সার্ভিস দেওয়া। বিভিন্ন পণ্য বিক্রি করার জন্য
ইন্টারনেটের মাধ্যমে অনলাইনে বিজ্ঞাপন প্রচার-প্রচারণা চালানো ডিজিটাল মার্কেটিং
এর অন্তর্ভুক্ত। সেগুলো সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমেও হতে পারে। বিভিন্নভাবে ডিজিটাল
মার্কেটিং করা যায় তার মধ্যে কিছু গুরুত্বপূর্ণ উপায় হলো গুগল এড, ফেসবুক
মার্কেটিং, ইউটিউব মার্কেটিং। এগুলো ডিজিটাল মার্কেটিং এর অন্তর্ভুক্ত। তাই এখন
ব্যবসায়কে টিকিয়ে রাখার জন্য ডিজিটাল মার্কেটিং এর অনেক গুরুত্ব রয়েছে।
আরো পড়ুনঃ ওয়েব ডিজাইন ও ডেভেলপমেন্ট কি এগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন
গ্রাফিক্স ডিজাইনঃ গ্রাফিক্স ডিজাইন হলো ইমেজ তৈরি ও কালারের
কম্বিনেশন এর সাহায্যে বার্তা প্রেরণ করা। গ্রাফিক্স ডিজাইন কে কমিউনিকেশন ডিজাইন
হিসেবেও আখ্যায়িত করা হয়। গ্রাফিক্স ডিজাইন এর আওতাভুক্ত অনেক কাজ রয়েছে তার
মধ্যে কিছু কাজ হলো-
- বিজনেস কার্ড ডিজাইন (Business card design)
- লোগো ডিজাইন (Logo design)
- ওয়েবসাইট ডিজাইন (Website design)
- অ্যাপ ডিজাইন (Application design /App design)
- টি-শার্ট ডিজাইন ( T shirt Design)
ওয়েব ডিজাইনঃ বর্তমান যুগ তথ্য প্রযুক্তির ও আধুনিক যুগ। এ
যুগে সব রকমের ব্যবসায়ী কোন না কোন ভাবে অনলাইনের সাথে যুক্ত আছে। বর্তমানে এই
আধুনিক যুগে প্রত্যেকটি কোম্পানিরই একটি করে নিজস্ব ওয়েবসাইট থাকে। আর এজন্য
ওয়েবসাইট ডিজাইন করার ডিমান্ড দিন দিন বেড়েই যাচ্ছে। তাই বর্তমানে ডিজিটাল
মার্কেটিং গ্রাফিক্স ডিজাইন গুলোর পাশাপাশি ওয়েব ডিজাইন এর ও ব্যাপক চাহিদা
রয়েছে।
সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনঃ সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন যেটাকে
সংক্ষেপে এসইও বলা হয়। যার মাধ্যমে google এ ওয়েবসাইটে অনুসন্ধানকারী কে সঠিক
সন্ধান দিতে সহায়তা করে। একটি ওয়েবসাইটে যখন কোন ব্যক্তি কোন কিছু সন্ধান করার
জন্য সার্চ দিয়ে থাকে এসইউর মাধ্যমে তার সন্ধান কৃত তথ্যটি সবার সামনে পৃষ্ঠায়
এসে থাকে। একজন ডিজিটাল মার্কেটারের এসইও জানা খুবই জরুরী। একই মূলত দুই ধরনের
হয়ে থাকে-
- অন পেজ অপটিমাইজেশন
- অফ পেজ অপটিমাইজেশন
ফ্রিল্যান্সিং এ আয়ের দিক থেকে বাংলাদেশের অবস্থান কত ২০২৪
ঘরে বসে কাজ করে টাকা আয় করার সবচেয়ে জনপ্রিয় একটি মাধ্যম হচ্ছে
ফ্রিল্যান্সিং। দিন দিন যেমন ফ্রিল্যান্সারদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে, ঠিক তেমনি
বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে দক্ষতাশীল লোকের চাহিদাও বৃদ্ধি
পাচ্ছে। আমাদের দেশে হাজারো তরুণ তরুণীরা বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং পেশার সাথে
জড়িত। ফ্রিল্যান্সিং করার মাধ্যমে তারা ঘরে বসে অর্থ উপার্জন করছে। কিন্তু
অনেকেই হয়তো জানেন না বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিংয়ে আয়ের দিক থেকে কততম অবস্থান
করছে।
তাই এখন আমরা জানাবো ফ্রিল্যান্সিংয়ে আয়ের দিক থেকে বাংলাদেশের অবস্থান কততম।
ফ্রিল্যান্সিং এ যুক্তরাষ্ট্র সবার প্রথমে থাকলেও বাংলাদেশে ফ্রিল্যান্সিংয়ের
অনেক অবদান রয়েছে। বর্তমানে বাংলাদেশ ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরের ২৯ তম অবস্থানে
আছে। একটি প্রতিবেদনে লেখা হয় যে, সমগ্র বিশ্বজুড়ে বর্তমানে প্রায় ১৫৭ কোটির
মত ফ্রিল্যান্সার রয়েছে।
ধারণা পাওয়া যায় ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরের বাজার 3. 39 বিলিয়ন ডলারের মতো।
টাকারও সমগ্র বিশ্বজুড়ে ফ্রীলান্সারদের ঘন্টায় গড়ে আয় ২১ ডলার করে। তারমধ্যে
প্রায় ৭০ থেকে ৭৫ শতাংশের বয়স ৩০ থেকে ৩৫ বছর বয়সের মধ্যে হবে। তবে আমাদের
প্রতিবেশী দুটি দেশ পাকিস্তান ও ভারত বাংলাদেশের চেয়েও ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে
এগিয়ে রয়েছে।
ফ্রিল্যান্সারদের সংখ্যার দিক থেকে সবচেয়ে বড় মার্কেটপ্লেস কোনটি
ফ্রিল্যান্সারদের সংখ্যার দিক থেকে সবচেয়ে বড় মার্কেটপ্লেস কোনটি অনেক
ফ্রিল্যান্সারদেরই খুবই গুরুত্বপূর্ণ কমন একটি প্রশ্ন। এটা অনেকে না জানার কারণে
মার্কেটপ্লেসে বায়ার ধরতে ব্যর্থ হয়। ফলে বিভিন্ন মার্কেটপ্লেস এ কাজ না পেয়ে
সে কাজ করার মনোবল হারিয়ে ফেলে। ফ্রিল্যান্সারদের সংখ্যার দিক থেকে সবচেয়ে বড়
মার্কেটপ্লেস কোনটি এ প্রশ্নের সমাধান আপনাদের জানাবো। বর্তমানে ফ্রিল্যান্সারদের
জন্য সবথেকে বড় ইন্টারন্যাশনাল মার্কেটপ্লেস হলো ফাইবার এবং আপওয়ার্ক।
এই দুটি ইন্টারন্যাশনাল মার্কেটপ্লেসে অনেক কাজ পাওয়া যায়। এখানে ফ্রিল্যান্সিং
সেক্টরের সব রকমের কাজের অনেক চাহিদা রয়েছে। ফাইবার এবং আপওয়ার্কে বিশ্বের
বিভিন্ন দেশের ফ্রিল্যান্সাররা কাজ করে থাকে। মার্কেটপ্লেস বলতে বুঝাই
ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ করার জন্য ফ্রিল্যান্সার এবং বায়ার এরমধ্যে যোগাযোগ করার যে
সফটওয়্যারটি রয়েছে সেটিকে বুঝায়।
ফাইবারঃ বর্তমান ফ্রিল্যান্সারদের বিভিন্ন রকমের দিক বিবেচনা
করে ফ্রিল্যান্সিং ইন্টারন্যাশনাল মার্কেটপ্লেসে ফাইবার দ্বিতীয়তম অবস্থায়
অবস্থানরত রয়েছে। কারণ ইন্টারনেটের মাধ্যমে অনলাইনে ঘরে বসে ফ্রিল্যান্সিং
সেক্টরের হরেক রকমের কাজ করে আয় করার একটি গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম হলো ফাইবার।
যেই মার্কেটপ্লেসটিতে কন্টেন্ট রাইটিং থেকে শুরু করে ফ্রিল্যান্সিংয়ের আরও
বিভিন্ন সেক্টর সমূহের কাজ করার জন্য বায়ার এবং ফ্রিল্যান্সারদের অবস্থান
রয়েছে।
আপওয়ার্কঃ বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং জগতে বিশ্বের বৃহত্তম
ফ্রিল্যান্সিং ইন্টারন্যাশনাল মার্কেটপ্লেস হলো আপওয়ার্ক। এবং বর্তমান বিশ্বে
প্রায় ১২ মিলিয়নেরও বেশি ফ্রিল্যান্সার এবং ৫ মিলিয়নেরও বেশি ক্লায়েন্ট
অর্থাৎ বায়ার নিবন্ধিত রয়েছে। আর এই ফ্রিল্যান্সার এবং বায়ার আপওয়ার্কের মতো
বড় একটি মার্কেটপ্লেস এ কাজ করে থাকে। যেখানে আপনিও যদি চান তাহলে আপনার জায়গা
করে নিতে পারেন।
ফ্রিল্যান্সিং জগতের ইন্টারন্যাশনাল সবচেয়ে বড় দুটি মার্কেট প্লেস ফাইবার এবং
upwork এ আপনিও চাইলে একজন সফল ফ্রিল্যান্সার হয়ে প্রোফাইল একাউন্ট খুলে কাজ
করতে পারেন।
লেখকের মন্তব্যঃ বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর সব থেকে ডিমান্ডেবল সেক্টর কোনটি
এতক্ষণ আমরা এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে আলোচনা করেছি বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর সব
থেকে ডিমান্ডেবল সেক্টর কোনটি এটা সম্পর্কে। আমাদের দেশে হাজার হাজার
তরুণ-তরুণীরা ফিন্যান্সিং এর সাথে যুক্ত থাকলেও ফ্রিল্যান্সিংয়ে সব থেকে বেশি
ডিমান্ডেবল সেক্টর কোনটি সেটি সম্পর্কে জানেনা। আমার এই আর্টিকেলে
ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করেছি। আশা করি আমার এই
আর্টিকেলটি পড়ে আপনারা উপকৃত হতে পেরেছেন।
আমার এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে যদি আপনি উপকৃত হয়ে থাকেন এবং খুব ভালোভাবে
ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে ধারণা নিয়ে থাকেন তাহলে আমার এই লেখাটি আপনার বন্ধুদের
সাথে শেয়ার করুন। যেন আপনার বন্ধু ও বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর সব থেকে
ডিমান্ডেবল সেক্টর কোনটি সেটি সম্পর্কে ধারণা নিতে পারে। এতক্ষণ আমাদের সাথে
থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। প্রতিদিন এমন নিত্য নতুন আপনার প্রয়োজনীয়
গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সম্পর্কে জানতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন।সবার
সুস্বাস্থ্য কামনা করে আমার লেখাটি শেষ করছি।
আর এইচ ড্রিম আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url